স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, ডুরান্ড কাপে কলকাতা ডার্বি বাতিল। শনিবার থেকেই ভারতীয় ফুটবল মহলে এই নিয়ে তোলপাড়। রবিবারের বড় ম্যাচে দুই দলের সমর্থকদের এক হওয়ার পালা ছিল। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। ডার্বি হচ্ছে না, কিন্তু প্রতিবাদ হবে। প্রতিবাদ থামবে না। আরজি করের বিচারের দাবি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে যোগ দিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরাও। একজোট হয়ে সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বরে প্রতিবাদে সামিল হলেন ফুটবল সমর্থকরা।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান সমর্থকদের প্রতিবাদে চার ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ হয়ে থাকল বাইপাস। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে খেতে হল পুলিশের লাঠি। তাতেও প্রতিবাদ থামল না। পুলিশের লাঠিচার্জ সত্ত্বেও সমর্থকেরা আবার ভিড় করলেন যুবভারতীর সামনে। সব মিলিয়ে, রবিবার মাঠে ডার্বি না হলেও মাঠের বাইরে হল, সেখানে জিতে গেল তিন প্রধানই।
রবিবার সকাল থেকেই গোটা শহরজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও কোথাও জল জমে যায়। প্রতিবাদীরা তাতেও পিছিয়ে আসেননি। ছুটির দিন হওয়ায় দ্বিগুণ উৎসাহে দুপুর থেকেই দলে দলে সমর্থক মিছিল করে এগোতে থাকেন যুবভারতীর দিকে। হাওড়া, দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট মিছিল এগোতে থাকে। গন্তব্য একটাই, যুবভারতী স্টেডিয়াম। ডার্বি বাতিল হওয়ার দুঃখ নয়, আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চাওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য।
এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে অমিত মালব্য লিখেছেন, একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কলকাতার সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ফুটবল ম্যাচ, ১৮ অগাস্ট ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ডার্বি বাতিল করেছে। টিকিট সব বিক্রি হয়ে গেছে। খেলার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার কারণ দেখিয়ে ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
যদি তারা ৬০ হাজার মানুষকে নিরাপত্তা দিতে অক্ষম হয়, তবে রাজ্যের ১০ কোটি জনগণের কথা ছেড়েই দিন। এর আসল কারণ হল, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দলের সমর্থকরা আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড দেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এই ধরনের গণবিক্ষোভের ভয়ে খেলাটি বাতিল করা হয়।”