আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরাও। এই আবহেই এবার অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল টলিউডের অন্দরেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করল ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেনশন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাতেই অরিন্দম শীলের ‘এই সাজা পাওয়া’ নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, শতরূপা সান্য়ালরা। কদিন আগেই টলিপাড়ায় মেয়েদের দুরবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখেছিলেন ঋতাভরী। আর এবার অরিন্দমের সাসপেনশনের খবর আসার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন অভিনেত্রী-পরিচালক শতরূপা।
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা সিনেমা ও থিয়েটারের নোংরা সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সাবাস , মেয়েরা! এখানে থেমোনা! পুরুষ ও পুরুষতন্ত্রের প্রভুত্বের দিন শেষ হোক! মার ঝাড়ু মার, ঝাড়ু মেরে ঝেঁটিয়ে বিদায় কর, যত আছে নোংরা, সবই খ্যাংড়া মেরে ঘর থেকে দূর কর!!’ এখানেই শেষ নয়, তিনি শনিবারের তারিখেরও উল্লেখ করেছেন। যাতে অন্তত এই দিনটা সবার স্মৃতিতে থাকে।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সমস্ত বিষয়টাই যিনি অভিযোগকারিণী এবং যিনি অভিযুক্ত তাঁর মধ্যে। তাঁর কথায়, “অভিযোগকারিণীর যে দাবি ছিল তাতে উনি (অরিন্দম শীল) সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। অভিযোগকারিণী বলেছিলেন যে, ‘উনি আমাকে যে কিস করেছিলেন এবং সেটা চিত্রনাট্যে ছিল না।’ পরিচালক তখন বলেন, ‘হ্যাঁ, স্ক্রিপ্টে ছিল না কিন্তু ওটা একটা দুর্ঘটনা ছিল।’ মেয়েটি তা মানতে রাজি হয়নি। সে তখন পরিচালককে বলে, ‘এটা দুর্ঘটনা নয় আপনি ইচ্ছাকৃত করেছিলেন, আর তার পরে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোর কি খারাপ লেগেছে? বল?’ এই কথার ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত শব্দটি খাটে না।”