স্পেশাল রিপোর্ট, ডেস্ক: কথায় আছে – সব সাগর বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। আগামীকাল, অর্থাৎ রবিবার রাত থেকে শুরু মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। অমাবস্যার ভরা কোটালে গঙ্গাসাগর দর্শন ও স্নান করে মানুষ পূর্ণতৃপ্তি পান, এই সাগরমেলার জন্য সারা বছর মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন। বছরের শুরুতেই সাগরমেলা দেখতে বিভিন্ন রাজ্যগুলি থেকে দলে দলে মানুষ বাস, ট্রেনে কলকাতায় এসেছেন। বাবুঘাটে সাগরমেলার ট্রানজিট ক্যাম্পে বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন সাগরের উদ্দেশ্যে। সাধু-সন্ততিদেরও ভীড় জমেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধু-সন্ততিরা মহা-সাধনার পরম তৃপ্তি পেতে ভীড় জমায় এই সাগরের বেলাভূমিতে। এই রকম একটা মরসূমে মুড়িগঙ্গার চরে আটকে গেল পুণ্যার্থী বোঝাই ভেসেল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন তাঁরা। ইতি মধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার করেছেন তাঁদের। লট নম্বর আট থেকে আর একটি পুন্যার্থী বোঝাই ভেসেল গঙ্গাসাগরে আসার সময়ই সেটি নদীর চরে আটকে যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নদীর জল কমে যাওয়ায় চরে আটকে পড়ে ভেসেলটি। এনডিআরএফের কর্মীদের পাঠানো হয়। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্পিড বোটে করে পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে। অন্যদিকে মেলার সময় দিনে ১৮–২০ ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা চালু রাখতে দু’মাস ধরে ড্রেজিং করা হয় মুড়িগঙ্গায়। এই মুড়িগঙ্গার চর নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুন্যার্থীদের পূণ্যস্নানের জন্য বানানো হয়েছে স্নানঘাট। সেই ঘাটে সমুদ্রের জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। তবে ওই চরের পথে যাতে আর কোনও ভেসেল না যায়, তার জন্য জায়গাটি চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করছে আগামী ১৫ জানুয়ারি ৯টা ১৩ মিনিটে শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তি। পুণ্যস্নানের সময় ১৫ জানুয়ারি রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে ১৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। সাগরযাত্রীদের সমস্যা এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারকে মুড়িগঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।