তনুশ্রী কয়াল, স্পেশাল রিপোর্ট ডেস্ক :অতীতে এমন সম্ভাবনার কথা তুলেছিলেন কয়েক জন বিজ্ঞানী। কিন্তু ‘প্রমাণের অভাবে’ সেই তত্ত্ব খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এ বার ফের সেই তত্ত্বকে উস্কে দিয়েছেন চার জন। তার মধ্যে আছেন দু’জন বাঙালিও। সম্প্রতি ‘মেরিন অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম জিয়োলজি’ পত্রিকায় তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তাঁরা দেখিয়েছেন যে, মঙ্গলে জেজেরো গহ্বরের কাছে যে ব-দ্বীপ ভূমিরূপ আছে তার গঠনের সঙ্গে জোয়ার-ভাটার সম্পর্ক আছে। মঙ্গলের উত্তর মেরুর কাছে থাকা মহাসাগরের অবস্থানের ফলেই সেই জোয়ার-ভাটা হত এবং তার ফলেই পলি জমে ওই ব-দ্বীপ তৈরি হয়েছিল।
এই গবেষণার অন্যতম শরিক তথা জার্মান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ইন ওমান-এর ফলিত ভূবিজ্ঞানের অধ্যাপক রজত মজুমদার বলছেন, ২০২১ সালে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পার্সিভারেন্স রোভার যে ছবি তুলেছে তা বিশ্লেষণ করেই এই সম্ভাবনা উঠে এসেছে। এই গবেষণায় প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব অ্যালবার্টার বিজ্ঞানী অক্টাভিয়ান ক্যাটুনিয়ান। আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিভার্সিটি অব প্রিটোরিয়ার
বিজ্ঞানী প্যাট্রিক জি এরিকসনও। গবেষণাপত্র লেখার সঙ্গে রজত যুক্ত করেছেন তাঁর মেয়ে, বর্তমানে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পড়ুয়া সৃজনী মজুমদারকেও।
সমুদ্রের সঙ্গে যেহেতু প্রাণের সম্পর্ক আছে তাই মঙ্গলে সমুদ্রের অস্তিত্ব প্রমাণিত হলে লাল গ্রহে প্রাণ ছিল কি না, সেই গবেষণাও নতুন মাত্রা পেতে পারে মনে করছেন এই বিজ্ঞানীরা।