তনুশ্রী কয়াল, স্পেশাল রিপোর্ট ডেস্ক :ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনার জন্য বোনেরা এই রীতি অত্যন্ত যত্ন সহকারের সঙ্গে পালন করেন। পুরাণে আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম, তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্যদিকে শোনা যায়, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর কৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রার কাছে যখন এসেছিলেন, তখন সুভদ্রা তাঁর কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকেই ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। এই উৎসব কে আবার যমদ্বিতীয়া ও বলে।
বাঙালির কাছে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া বা ভাই ফোঁটা নামে পরিচিত হলেও, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এর রয়েছে বিভিন্ন নামে পরিচিত।গোয়া, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে এই পার্বণ ‘ভাইবিজ’ নামে পালিত হয়। ভারতের পশ্চিমাংশে এই উৎসব ‘ভাই দুজ’ নামে পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে ও নেপালে এই উৎসব আবার পরিচিত ভাইটিকা নামে। বিজয়াদশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব সেখানে।
মূলত কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটা উদযাপিত হয়। তবে অনেক বাড়িতে রয়েছে ভিন্ন নিয়মভেদ। তাই এটি শুক্লপক্ষের প্রতিপদের দিনও বিভিন্ন জায়গায় উদযাপিত হয় ভাইফোঁটা।