স্পেশাল রিপোর্ট, ডেস্ক: বউ-এর পরকীয়া প্রেম এসব কোনও নতুন ঘটনা নয়। আবার বিয়ের ঠিক হয়ে যাবার পরও কণে পালিয়ে যাবার ঘটনাও উঠে আসে। এবার বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়ি এসে বউ প্রেমিককে নিয়ে চম্পট দেয়। বীরভূমের যজ্ঞনগর গ্রামে এখন এই ঘটনাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুদ্দুস শেখ নিজের মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে দেখে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন, কিন্তু গাড়ি থামাননি প্রেমিক যুগল। প্রৌঢ় বাবাকে চাপা দিয়েই চম্পট দিয়েছে তাঁরা। বাপের বাড়ি থেকে দেখে বিয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারেননি মেয়ে। প্রেমকেই অগ্রাধিকার দেন। বাবা পরিবারের মান–সম্মান বাঁচাতে এই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। মেয়ের অমতে অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল বাবা। অপরাধ এটাই। গ্রামের যুবকের সঙ্গে মেয়ের প্রণয় গড়িয়েছিল। সেটা মেনে নেননি বাবা। তখনই মেয়ে ও তাঁর প্রেমিক মিলে প্ল্যান তৈরি করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়িতে এসে সেই প্রেমিকের হাত ধরে পালাল মেয়ে। শুধু তাই নয়, সে পথেও কাঁটা হয়ে ওঠেন মেয়েটির বাবা। তখন প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় বাবাকে গাড়িতে পিষে চলে গেল মেয়ে। আর গাড়ি চাপা পড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুদ্দুসকে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কুদ্দুস শেখের মেয়ে কুতুবা খাতুন গ্রামের যুবক গাজু শেখের সঙ্গে প্রেম করতেন। এটা জানাজানি হওয়ার পর কুদ্দুস এই সম্পর্ক মেনে নেননি। সম্পর্ক আরও গভীরে যাওয়ার আগে এবং ঘটনাটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে মেয়ের সম্বন্ধ দেখে বিয়ে দেন বাবা কুদ্দুস শেখ। আর তারপরই এই অঘটন। এই খবর পেয়ে অকুস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিশ। যুবক গাজুর বিরুদ্ধে লিখিত অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।