স্পেশাল রিপোর্ট, ডেস্ক: চলতি মাসে ২৫ শে ডিসেম্বর, বড়দিনের দিনই ইডি-র বড় হামলা কামারহাটি পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে। সোমবার ইডির অফিসাররা কামারহাটি পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দেন। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা এবং ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ বেআইনি বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ইডি-র আধিকারীকরা মনে করছেন। কারণ সম্পদ তৈরির সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি নেই। তাছাড়া তেমন কোনও নথি দেখাতে পারেননি তমাল দত্ত। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ দেখে চক্ষু চড়কগাছ অফিসারদের। কারণ একজন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে বিপুল সম্পদ খুব সহজে আসা সম্ভব নয় তা বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। তাই এই বিষয়টি সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ইডি এবং সিবিআই দুর্নীতির অভিযোগে যে ভাবে একের পর এক হেবি-ওয়েট নেতা থেকে শুরু করে রাঘব-বোয়ালদের পাকরাও করছে, সেই সঙ্গে কামারহাটি পুরসভার ওই ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত ছাড় পেল না। তদন্তকারী দলের মতে-ঐ ইঞ্জিনিয়ারকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তাঁর এত সম্পদ আছে। খুব সাধারণভাবে থাকলেও কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ভিতরে ভিতরে সম্পদ বানিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি চাকরি পান ২০১৬ সালে। সুতরাং ৬ বছর আগে চাকরি পান কামারহাটি পুরসভায়। এই ৬ বছরে এত সম্পদ কেমন করে সম্ভব? উত্তর খুঁজছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তাঁর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সোমবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান ইডির গোয়েন্দারা। গত ৫ অক্টোবর তমাল দত্তের বাগুইআটির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ বেআইনি পথেই হয়েছে বলে ইডি মনে করছেন। কারণ সম্পদ তৈরির সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি নেই। তাছাড়া তেমন কোনও নথি দেখাতে পারেননি তমাল দত্ত। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে? উঠছে প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান ইডির অফিসাররা। কোনও বড় দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।